বাংলাদেশে ৫০ শতাংশ পূর্ণবয়স্ক মানুষ আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবা অর্থাৎ ব্যাংকিং সেবার বাইরে রয়েছে।
ব্যাংকিং সহায়তা থেকে বঞ্চিত, এমন দরিদ্র মানুষের জন্য মাইক্রোফাইন্যান্স আর্থিক সহায়তার নানাবিধ সেবা যেমন: ঋণ, সঞ্চয়, মাইক্রোইনসিওরেন্স ইত্যাদি প্রদান করে থাকে।
মাইক্রোফাইন্যান্সের সহায়তা পাওয়ার ফলে পরিবারগুলো নানারকম আয়বর্ধক কাজে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে। সেইসঙ্গে সম্পদ তৈরি, জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য বিধান এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অর্থব্যয় করার সক্ষমতা অর্জিত হয়। এ ছাড়াও স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেওয়া বা উৎপাদনশীল সম্পদ বিক্রি করার মতো পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে এই সেবা সহায়তা জোগাচ্ছে।
আমাদের আর্থিক সেবাগুলোর আওতায় রয়েছেন বাংলাদেশের নানা পেশার মানুষ যেমন: কৃষক, চাকরিজীবী, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং অভিবাসী। উপযুক্ত ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি আমরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়, বিমা এবং মোবাইলের মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদানের সুবিধাও দিয়ে থাকি।
মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচি আমাদের বহুমুখী উন্নয়ন কর্মকৌশলের একটি অংশ। এ ছাড়াও এই কর্মসূচি আমাদের অন্যান্য সামাজিক সেবামূলক কর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সাহায্য করার মাধ্যমে স্থিতিশীল, সুস্থ ও উপযুক্ত জীবিকার সমন্বয় ঘটিয়ে জনগণের ক্ষমতায়নে সহায়তা করছে।